পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ প্রেমে ব্যার্থ হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলার নামাজপুর এলাকার যুবক ইমন হাওলাদার (২০) নানা বাড়ী ইন্দুরকানীতে বসে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মারা যাওয়ার পূর্বে নিজ হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গাবছিয়ায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় ওইদিন সন্ধায় নানা ইউনুস আলী হাওলাদারের বাড়ির খাবার ঘর থেকে ইমনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানাগেছে, ইমন বেশ কিছিুদিন যাবৎ নানা বাড়িতে অবস্থান করছিল। এখানে থাকার সুবাদে পাশ্ববর্তী এক মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে তার নানি জানিয়েছেন। কিন্তু নানা বাড়ির কেউ ওই প্রেমের সম্পর্কে রাজি ছিলেন না। পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ইমন। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ইমন মেঝ। ইমন খুলনার একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।
তবে মারা যাওয়ার পূর্বে যুবক ইমন নিজ হাতে একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। তাতে লেখা ছিল- ‘আমি মরে গেলে কেউ দায়ী না। আমি যাকে ভালোবাসি তাকে আমি পাই নাই। আমার জীবনের কোন দাম নাই। সবার কাছে আমি ক্ষমা চাইলাম’। এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইমন নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। মৃত ইমন পিরোজপুর সদর উপজেলার নামাজপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেঝ ছেলে ও ইন্দুরকানী উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের ইউনুছ ঘরামির মেয়ে নাতি। উল্লেখ্য, এর পূর্বে বিগত ২০১৮ সালের এপ্রিলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমনের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া বোন রিবি আক্তার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানাগেছে।
Leave a Reply